এম এ হান্নান পাকুন্দিয়া প্রতিনিধিঃ কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার পাঠুয়াভাঙ্গা ইউনিয়নে শিমুলিয়া গ্রামের হতদরিদ্র নাসিমা বেগম (৩৫)। শিমুলিয়া চৌরাস্তা বাজারের সাথে দোকানের ফ্রিজের শার্কিট থেকে শর্ট হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় ছোট্র মুদি। নাসিমার এই দোকানই তার সংসারের সন্তানদের দু-মুটো অন্ন মুখে দেওয়ার মাধ্যম এই ব্যবসা করে দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়েছেন বাকি দুই ছেলে পড়াশুনো করাচ্ছেন নাসিমা বেগম।
ছেলে দুই মেয়েকে রেখে স্বামী বকুল মিয়া দ্বিতীয় সংসার নিয়ে স্ত্রীকে ফেলে রেখে অবস্থান করছেন ঢাকায়। চার সন্তান নিয়ে কোনরকম টানাপোড়নের সংসার জীবন পাড় করছেন
গত ২৯ জুলাই মঙ্গলবার বিকেলে দোকানের ফ্রিজের শার্কিট থেকে শর্ট হয়ে পুড়ে ছাই হয়ে যায় তার দোকানের ফ্রিজ, টেলিভিশন, দোকানের মালামাল ও ক্যাশে থাকা কিছু নগদ টাকা। খবর পেয়ে পাকুন্দিয়া থেকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ছুটে এলেও আগুন নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসেন স্থনীয়রা। এ যেন দোকান নয়, ‘স্বপ্ন’ পুড়ে ছাই নাসিমার।
স্বামী বকুল মিয়া চার সন্তানকে ফেলে চলে যাওয়ার পর সন্তানদের পড়াশুনো, ভরণপোষণ ও নাসিমার বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন ছিলো এই মুদি ও চা দোকান। সবকিছু পুড়ে এখন সে নিঃস্ব। সবে মিলে তার প্রায় দুই লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারনা করছে সচেতন মহল ।
Leave a Reply